জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১৯৯৪ সালে ৯ আগস্টকে আদিবাসী দিবস হিসেবে পালনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে আহ্বান জানানোর সময়কাল থেকেই সারাবিশ্বের আদিবাসী জনগোষ্ঠী বিভিন্ন আয়োজনে দিবসটিকে উদযাপন করে আসছে। বিশ্বের কোথাও কোথাও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগেও দিবসটি উদযাপিত হয়ে থাকে।উল্লেখ্য যে,দেশে দেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর বহু শতাব্দীর বঞ্চনাও নিপীড়নের ইতিহাস এবং সমসাময়িক বিশ্বব্যবস্থায় তাদের উপেক্ষিত রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক চেতনাগত অবস্থানের পর সদস্য রাষ্ট্রও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংবেদনশীল করে সমস্যাগুলো সমাধানে দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৯৫-২০০৪ সালকে আদিবাসী দশক ঘোষণা করে। প্রথম আদিবাসী দশক (১৯৯৫-২০০৪)সালের শেষে প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় জাতিসংঘ আবারো ২০০৫-২০১৪ সময় কালকে দ্বিতীয় আদিবাসী দশক ঘোষণা করে।
দ্বিতীয় আদিবাসী দশক শেষে প্রায় এক দশক অতিক্রান্ত হতে চললেও বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা মনে করেন,তারা এখনো প্রথম ও দ্বিতীয় আদিবাসী দশকের প্রত্যাশিত লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছেন।আর তাই এ লক্ষ্যকে ধারন করেই সারাবিশ্বের আদিবাসীদের ন্যায় বাংলাদেশে বসবাসকারী ৩০ লাখ আদিবাসীর প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নানান আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটিকে উদযাপন করা হচ্ছে।
সারাবিশ্বে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর সকল ধরনের বঞ্চনা,নিপীড়ন,অবহেলা ও উপেক্ষার অবসান হোক, সমাজ ও রাষ্ট্র হয়ে উঠুক সুষম কল্যাণকর- এ কামনা করি আজকের এই দিনে।(লেখক এলিম্যান হাজং মৌলভীবাজার)
কমেন্ট করুন